ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন ও আদিবাসী জনগণের প্রতিক্রিয়া

ভারতে ঔপনিবেশিক শাসন পর্বে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ পর্বে এবং উনবিংশ শতাব্দীতে একাধিক অরণ্য আইন এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আদিবাসীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং স্বাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছিল ।আদিবাসী জনগোষ্ঠী তা সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি ফলস্বরূপ ভারতের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ।এই বিদ্রোহগুলি ছিল তীব্র এবং স্বতঃস্ফূর্ত ।ব্রিটিশ প্রশাসন প্রায় সমস্ত আদিবাসী বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত দমন করতে পারলেও তীব্র চাপ এবং প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল ।

আদিবাসী সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্রতা – ঔপনিবেশিক ভারতে বিস্তীর্ণ অরণ্য আচ্ছাদিত এবং পাহাড়ি অঞ্চলে বহু আদিবাসী জনগোষ্ঠী প্রাচীনকাল থেকে বংশপরম্পরা বাস করতো । ভারতীয় উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আদিবাসীদের বাস ছিল পাহাড়ি ও মালভূমি অঞ্চলে । যেমন দক্ষিণ ভারতে পশ্চিমঘাট ও পূর্বঘাট পর্বতমালা অঞ্চলে, হিমালয়ের পাদদেশ,বিহার ও ঝাড়খণ্ডের মালভূমি অঞ্চলে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে বনভূমিতে ।

আদিবাসীরা অরন্যচারী ছিল ।তাদের ভাষা, পোশাক,ধর্ম,খাদ্যভাস,সামাজিক প্রথা এবং সংস্কার সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলো ।সবচেয়ে বড় কথা আদিবাসীদের জীবন ধারণ পদ্ধতি সাধারণ কৃষকদের থেকে আলাদা ছিল ।আদিবাসীদের জীবনধারণের প্রধানত তিনটি অবলম্বন ছিল ।

১। পশু শিকার ও পশুপালন ।

২। অরণ্যজাত দ্রব্যাদি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ ।

৩। জুমচাষ ।

অরণ্য আইন ও আদিবাসী বিদ্রোহ ।- ভারতে ঔপনিবেশিক শাসন পর্বে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ পর্বে মূলত উনবিংশ শতাব্দীতে একাধিক অরণ্য আইন এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আদিবাসীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং স্বাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছিল ।আদিবাসী জনগোষ্ঠী তা সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি ফলস্বরূপ ভারতের বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠী বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল । এই বিদ্রোহগুলি ছিল তীব্র এবং স্বতঃস্ফূর্ত । ব্রিটিশ প্রশাসন সব আদিবাসী বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত দমন করতে পারলেও তীব্র চাপ এবং প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল ।

আদিবাসী আন্দোলনের বিস্তার – প্রথমে দক্ষিণ ভারতের বনাঞ্চলে আদিবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল অরণ্য আইনের বিরুদ্ধে ।হায়দ্রাবাদের পাহাড়ি রেড্ডি বস্তার অঞ্চলের বিসন মারিয়া অঞ্চলের কোয়া ও কোন্ডভোরা আদিবাসীরা ১৮৩৯

খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলে । রাম্পা অঞ্চলের স্থানীয় ভাষায় বলা হতো ‘ফিতুরি’ । এছাড়া মধ্য ভারতে বৈগা, গঞ্জাম এলাকার সাওরা আদিবাসী সম্প্রদায়রা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল । ধীরে ধীরে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ত্রিবাঙ্কুর, উত্তরপ্রদেশের তেহেরি গাড়োয়াল ও কূমায়ুন অঞ্চলে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল ।

ভারতের পূর্বাঞ্চলে মূলত বাংলা প্রেসিডেন্সির অরণ্য অধ্যুষিত অঞ্চলে আদিবাসী বিদ্রোহ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল।

পশ্চিম মেদিনীপুর , বাঁকুড়া, ঝাড়খণ্ড এলাকায় চুয়াড় বিদ্রোহ ( দ্বিতীয় পর্ব – ১৭৮৯খ্রিষ্টাব্দ-৯৯ খ্রিষ্টাব্দ )।

ছোটনাগপুর,সিংভূম,মানভূম অঞ্চলে সংগঠিত হয়েছিল কোল বিদ্রোহ (১৮৩১ খ্রিস্টাব্দ- ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দ )।

ছোটনাগপুর,পালামৌ,হাজারীবাগ, বাঁকুড়া,বীরভূম,ভাগলপুর অঞ্চলে সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫খ্রিষ্টাব্দ-১৮৫৬খ্রিষ্টাব্দ)

রাঁচি ও সিংভূম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মুন্ডা বিদ্রোহ (১৮৯৯খ্রিষ্টাব্দ-১৯০০খ্রিষ্টাব্দ)গড়ে উঠেছিল ।

আদিবাসী বিদ্রোহের কারণ:

মুঘল আমলে কেন্দ্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে একাধিক বড়মাপের কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল তার মধ্যে জাঠ,শতনামই, শিখদের কথা বলা যায় ।অর্থনৈতিক বঞ্চনার সঙ্গে ধর্ম, জাতপাত, নানা কিছু মিশে ছিল ঐ কৃষক বিদ্রোহ গুলির মধ্যে ।

কিন্তু মুঘল শাসকরা এমনকি ঐ আমলের প্রাদেশিক শাসনকর্তারা বনাঞ্চলের আদিবাসীদের স্বতন্ত্রতা এবং স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করেননি

কিন্তু ঔপনিবেশিক পর্বে পুরো চিত্রটাই বদলে গিয়েছিল । ঔপনিবেশিক শাসনকর্তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজস্ব বৃদ্ধি (Revenue maximization) এবং তার আদায় সুনিশ্চিত করা । শুধু তাই নয় ঔপনিবেশিক শাসন পর্বে ভারতীয় অর্থনীতিকে বিশ্ব ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছিল ।ফলে এর ফলে একদিকে সংগঠিত হয় কৃষি বানিজ্যিকীকরণ বা বাণিজ্যিক ফসল (চা,পাট,আখ,তুলা,নীল ) উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়াস অন্যদিকে জমি হয়ে ওঠে বাজারি পণ্য ।এর ফলে একদিকছেন ‘ গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিতে ব্যবসায়ী ও মহাজনদের প্রভাব বৃদ্ধি পায় । ঐতিহাসিক রণজিৎ গুহ যথার্থই বলেছেন ‘জমিদার মহাজন ও রাষ্ট্র এই তিন মিলে কৃষকদের ওপরে সংযুক্ত প্রাধান্য কয়েম করেছিল ।’

উপনিবেশিক প্রশাসকদের উদগ্র লোভ এবং সম্পদ বৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা আদিবাসীদের অরণ্য অধিকারকে সংকুচিত করেছিল। ঔপনিবেশিক শাসকদের কাছে দুটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছিল –

প্রথমত – ভারতের বিস্তৃত বনাঞ্চল আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা অলাভজনক এই বিস্তৃত বনাঞ্চলের সম্পদ একদিকে বাণিজ্যের প্রয়োজনে লাগাতে হবে অন্যদিকে প্রয়োজনে অরণ্যের জমিকে কৃষি যোগ্য করে কৃষির সম্প্রসারণ করতে হবে । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ এর মধ্যবর্তী সময়ে ভারতে কৃষি যোগ্য জমির পরিমাণ বেড়েছিল ৬.৭ মিলিয়ন হেক্টর ।

দ্বিতীয়ত – ব্রিটিশ প্রশাসকদের কাছে আদিবাসীরা ছিল অজ্ঞ এবং অসভ্য । অনেকক্ষেত্রে উৎপাত বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী । তাদের মতে এই সব আদিবাসীরা অবৈধভাবে ঝুমচাষ করে এবং অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পশুপালন করে কৃষি এবং অরণ্যের ক্ষতি করছে ।

প্রসঙ্গত আমাদের মনে রাখতে হবে অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্যের বিজ্ঞানী এবং সংরক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয় ।

১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতে বন বিভাগ গড়ে উঠেছিল এবং ডায়াটড়িস ব্রান্ডিস নামে জনৈক জার্মান অরণ্যবিদ কে বনবিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল করা হয় .১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম অরণ্য আইন পাশ করা হয় ।ঔপনিবেশিক ভারতে ১৮৭৮ এবং ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে আরও দুটি অরণ্য আইনের মাধ্যমে ভারতে কোম্পানি একটি বিস্তৃত অংশের ওপর নিজেদের অধিকার কায়েম করেছিল ।অন্যদিকে অরণ্য এবং অরণ্য সম্পদের ওপর আদিবাস আদিবাসীদের সহজাত অধিকারকে সংকুচিত করেছিল ।

এর পেছনে শুধুমাত্র কৃষিজমির পরিমাণ বৃদ্ধি বা রাজস্ব বৃদ্ধি মূল উদ্দেশ্য ছিলো না । আরও দুটি উদ্দেশ্য ছিলো –

১/ নেপলিয়নীয় যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌ বাহিনীর জাহাজ তৈরির জন্য মালাবার অঞ্চলের কাঠের ওপর নজর পড়েছিল ।

২। ভারতে রেলপথ সম্প্রসারণ, শহরের বাড়িঘর,আসবাবপত্রের জন্য কাঠের বিপুল চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছিল ।

একটা পরিসংখ্যা দিলে ব্যাপারটা স্পষ্ট হবে ।এক মাইল রেলপথ স্থাপনের জন্য প্রায় ১৭০০ থেকে ২০০০ টি স্লিপার কাঠের প্রয়োজন হতো ।অন্যদিকে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ শুধুমাত্রে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে ৩৫০০০ হাজার গাছ কাটা হয়েছিল ।

এখন দেখে নেওয়া যাক ঔপনিবেশিক ভারতের অরণ্য আইনে ঠিক কি বলা হয়েছিল-

অরণ্য আইন মূলত ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের অরণ্য আইনে ভারতের বনভূমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল ।

১। সংরক্ষিত অরণ্য । ২। সুরক্ষিত অরণ্য । ৩। অশ্রেণিভুক্ত অরণ্য ।

১। সংরক্ষিত অরণ্য (Reserved Forest ) - এই অরণ্যগুলি ছিল পুরোদস্তুর ভাবে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে অর্থাৎ বন দপ্তরের অধীনে । বেষ্টনীদ্বারা সুরক্ষিত ছিল এবং আদিবাসী ও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ।

২। সুরক্ষিত অরণ্য ( Protected Forest ) – এই ধরনের অরণ্যে বৃক্ষ ছেদনের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আদিবাসীরা জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে পারতো, পশুচারণ করতে পারতো । তবে সরকার ইচ্ছে করলে সুরক্ষিত অরণ্যকে সংরক্ষিত অরণ্যের আওতায় নিয়ে আসতে পারত । ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে সংরক্ষিত অরণ্যের এলাকা ছিল ১৪,০০০ বর্গমাইল ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬,০০০ বর্গমাইল ।

৩। অশ্রেণিভুক্ত অরণ্য ( Unclassified Forest) - এই অরণ্যে আদিবাসী এবং সাধারণ মানুষ সবার অধিকার ছিল ।

অরণ্য আইনের প্রভাব এবং আদিবাসীদের প্রতিক্রিয়া ।

নতুন আইনের প্রয়োগ করে আদিবাসীদের অরণ্যে প্রবেশ এবং অরণ্যজাত দ্রব্যের সংগ্রহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল । নতুন আইন প্রয়োগ করে বনে অনধিকার প্রবেশ এবং বনজ বস্তুর চৌর্যবৃত্তির জন্য শাস্তি প্রদান করা হতো ।

১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ এবং ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে পৃথক ‘ক্রিমিনাল ট্রাইবস্‌ অ্যাক্ট’ পাশ করে ।বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের হেনস্থা করা হতো ।শুধু তাই নয় বনে প্রবেশ এবং পশুচারণ জন্য উচ্চহারে কর আরোপ করা শুরু হয়েছিল ।

· অরণ্য আইনকে প্রয়োগ করে আদিবাসীদের ঝুম চাষে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তাদের বাধ্য করা হয় স্থায়ী কৃষি কৃষিকাজে (settled agriculture) করতে কারণ এতে একদিকে কোম্পানি যেমন একদিকে সুনির্দিষ্ট সময়ের নিয়মিত রাজস্ব পেত অন্যদিকে তারা কোম্পানির নিয়ম-কানুন ও নজরদারির আওতায় থাকতো ।

· পরিবেশ রক্ষা , মৃত্তিকা ক্ষয় রোধ ইত্যাদির দোহাই দিয়ে অবাধ পশুচারণকে নিয়ন্ত্রিত করা হয় । পশুচারণের জমির ওপর কর আরোপ করা হয়েছিল অথবা পশু পিছু কর আদায় করা হতো ।সবচেয়ে বড় কথা ব্রিটিশ সরকার সর্বদা চাইতো ভ্রাম্যমান গোষ্ঠীগুলির পরিবর্তে স্থায়ী সুশৃঙ্খল জনগণ (Settled Population) তাহলে তাদের চিহ্নিতকরণ এবং নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে ।

· মজার কথা আদিবাসী জনগণকে নির্বিচারে পশু শিকারে বিরত করা হলেও ইংরেজ অফিসার এবং সেনারা নির্বিচারে পশু শিকার করত । শিকারের ছবি তুলতো ।বীরত্ব এবং পৌরুষ তুলে ধরতো । এর সঙ্গে দোসর হতো দেশীয় রাজারা । ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে প্রায় ৮০,০০০ বাঘ শিকার করা হয়েছিল । George Yule নামে এক সাহেব নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি প্রায় ৪০০ বাঘ নিজেই শিকার করেছেন । অথচ আদিবাসীরা নিছক শখে বন্যপ্রাণী শিকার করতো না, করতো জীবন জীবিকার স্বার্থে । স্বাভাবিকভাবে ঔপনিবেশিক শাসকদের এই বিমতাসুলভ আচরণ আদিবাসীদের চরম ক্ষুব্ধ করেছিল ।

· সবশেষে আমাদের মনে রাখতে হবে যে আদিবাসীদের বলপূর্বক ঝুমচাষের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্থায়ী কৃষিকাজে বাধ্য করা বা পশুচারণের অধিকার সংকুচিত করে ভ্রাম্যমান জীবন যাপনের অধিকার কেড়ে নেওয়া আদতে আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে অস্বীকার ও বিপন্ন করে তোলা ।

· শুধু তাই নয় ধীরে ধীরে তাদের শুধুমাত্র ঔপনিবেশিক আইন শৃঙ্খলায় বেঁধে ফেলা হোত না ,তার সঙ্গে বহিরাগত ইজারাদার,ব্যবসায়ী এবং মহাজনদের শোষণের ফাঁদে ফেলা হতো ।

ফলস্বরূপ বিপন্ন আদিবাসী সমাজের কাছে প্রতিরোধ, অভ্যুত্থান এবং বিদ্রোহ ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা ছিল না ।

Last updated